মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কাল ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু, যা বলছে প্রধান দুই দল ঢাকা মহানগর পুলিশের এক সহকারী কমিশনার বদলি বিএসএফের পোশাকে সীমান্তে মাদকের কারবার করতেন রেন্টু কুতুবদিয়ায় নোঙর করেছে এমভি আবদুল্লাহ ভারতে চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ ও কাশ্মিরে কেমন ভোট হলো বিভাজন থেকে বেরিয়ে এসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা উচিত : মির্জা ফখরুল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা বেআইনি : হাইকোর্ট আমার পুরো ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গিয়েছিল : মনোজ মানবদেহে প্রথম ব্রেইনচিপ ইমপ্লান্টে ধাক্কা খেলো নিউরালিংক ফিলিস্তিনপন্থিদের বিক্ষোভে অংশ নেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ অধ্যাপক গ্রেপ্তার
সংসদে মঞ্জুরের বদলির সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

সংসদে মঞ্জুরের বদলির সমালোচনায় প্রধানমন্ত্রী

গত রমজানে আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করার পর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারকে বদলি করার সমালোচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে ওই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার কাছে বিষয়টি মোটেই গ্রহণযোগ্য ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে নির্দেশনা দেই। আমি বলেছি তাকে আবারও ওই দায়িত্বে দিতে হবে। জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নানের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই প্রসঙ্গ টানেন।

তিনি বলেন, খুব নামিদামি জায়গা- তাদের যে কোনো খারাপ কিছু হবে না, সেটি কেউ বলতে পারবে না। তাদের মালিকরাও এ গ্যারান্টি দিতে পারবে না। সেখানে কেন পরীক্ষা করতে পারবে না, কেন সচেতন করতে পারবে না। সাধারণ ছোটখাটোদের ধরতে পারবে আর বড় অর্থশালী সম্পদশালী হলেই তাদের হাত দেওয়া যাবে না! তাদের অপরাধ অপরাধ না, এটি তো হয় না। আমার চোখে অপরাধী সে অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, কোনো দেশ যখন অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে উন্নতি হয়, তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে টাউট-বাটপার বা বিভিন্ন ধরনের লোক সৃষ্টি হয়। কিন্তু তাদের দমন করা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সম্ভব নয়, সামাজিকভাবেও করতে হবে।

সংসদনেতা বলেন, বড় বড় জায়গায় হাত দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেই হঠাৎ কিছু পত্রিকা লেখালেখি শুরু করে দেয়। যে যাই লেখে লেখুক। আমরা দেখব সঠিক কিনা। রমজানে কয়েকদিনের ব্যবধানে পাঞ্জাবির দাম দ্বিগুণ করায় আড়ংয়ে অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানটি একদিনের জন্য বন্ধ করে দিয়েছিলেন মঞ্জুর শাহরিয়ার। ওইদিনই তাকে খুলনায় বদলি করা হলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ওই বদলির আদেশ প্রত্যাহার করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কদিন আগে দুদকের এক পরিচালককে পুলিশের এক ডিআইজির ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

‘দুদকের অনেকে দুর্নীতির ব্যাধিতে আক্রান্ত বলে জনশ্রুতি আছে’ জানিয়ে দুর্নীতি দমন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন রেখেছিলেন সংসদ সদস্য রওশন আরা মান্নান। জবাবে সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেন, ঘুষ যে দেবে আর যে নেবে উভয়ই অপরাধী। শুধু ঘুষ নিলে তাকে ধরা হবে, তা নয়; যে ঘুষ দেবে তাকেও ধরা হবে। দুর্নীতি আমরা করব না, দুর্নীতি করতে দেব না। সবাই এক হয়ে কাজ করলে সমাজ থেকে অনিয়ম দূর করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে পারব। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে আমার দলের কেউও যদি সম্পৃক্ত থাকে, আমি কিন্তু তাদেরও ছাড় দিচ্ছি না; ছাড় দেব না। আর অন্য কেউ যদি অপরাধ করে, তারা তো ছাড় পাবেই না। শাসনটা ঘর থেকেই করতে হবে; সেটিই করে যাচ্ছি। কোনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কেউ যদি এ ধরনের অপরাধ করে, তার বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং এটি অব্যাহত থাকবে।

সমাজ থেকে অনিয়ম দূর করতে সব সংসদ সদস্যসহ সমাজের সবার সহযোগিতা কামনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি শুধু একটি বাহিনীর বা কারও একজনের ওপর নির্ভরশীল নয়। এ জন্য সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। জঙ্গি, সন্ত্রাস, মাদক আর দুর্নীতি দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে কাজে লাগানোর পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান, জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিশিষ্টজনকে নিয়ে প্রতি এলাকায় কমিটি করতে হবে; কোনো অন্যায়কে কেউ যেন প্রশ্রয় না দেয়।

রওশন আরা মান্নানের প্রশ্ন সম্পর্কে সরকারি দলের সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশ্ন করা সঠিক হয়নি। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নটা আমি ভালোমতো দেখেই গ্রহণ করি। এখানে প্রশ্নকারী যেটা বলেছেন, ‘দুদকের কেউ কেউ দুর্নীতিবাজ বলে জনশ্রুতি আছে’। কথাটা একেবারে মিথ্যা নয়। আর সবাই তো ধোয়া তুলসীর পাতা নয়। কেউ বলতে পারবেন না ১০০ ভাগ সৎ। সংস্থার মধ্যে অনেকেই দুর্নীতিবাজ বলে জনশ্রুতি আছে, প্রশ্নটা ঠিক আছে। সংস্থাকে এখন থেকে সচেতন হতে হবে। ওখানে যারা কাজ করবে তাদের ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তারা যেন ওই ধরনের তেমন কিছু না করে যে ওইরকম জনশ্রুতি হয়।

দুর্নীতি দমনই বলেন আর খাদ্য নিরাপত্তা অধিদপ্তরই বলেন সব ক্ষেত্রে দেখা যায় এমন এমন অনেক বড় জায়গা আছে যেখানে হাত দিলেই মনে হয় হাতটা পুড়ে যাচ্ছে। বড় প্রতিষ্ঠানে যারা অপরাধ ধরতে যায় তারাই যেন অপরাধী হয়ে যায়, আর কিছু পত্রিকা আছে আছে সঙ্গে লেখালেখি শুরু করে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে সঠিক তথ্য জেনে সেটি করা। কে কী বলল সেটি কান দেওয়ার দরকার নেই।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877